মোবাইল কেনার সময় যেসব দিকগুলো অবশ্যই দেখে নিবেন। মোবাইল কেনার আগে যা জানা খুব দরকার

278
একটি মোবাইল ফোন কেনার সময় যেসব দিকগুলো অবশ্যই দেখে নিবেন | Smartphone buying

মোবাইল কেনার সময় যেসব দিকগুলো অবশ্যই দেখে নিবেন। মোবাইল কেনার আগে যা জানা খুব দরকার

 

একটি স্মার্টফোন অনেকগুলো যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি। সব সার্ভিস বা ফিচার আপনার পক্ষে চেক করা সম্ভব না। কিন্তু এই পোস্টে দেয়া বিষয়গুলো নতুন স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে না দেখলেই নয়। একটি ভালো স্মার্টফোন কেনার সময় যে সকল বিষয় খেয়াল করতে হয় তা নিম্নে আলোচিত হল।

Advertising

একটি মোবাইল ফোন কেনার সময় যেসব দিকগুলো অবশ্যই দেখে নিবেন | Smartphone buyingঅপারেটিং সিস্টেম

স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কারণ আপনার ফোনের সফটওয়্যার রিলেটেড সকল এক্সপেরিয়েন্স এই অপারেটিং সিস্টেমের উপরই নির্ভর করবে। বর্তমানে ব্যবহারকারী সংখ্যা বিচারে প্রথম স্থানে এন্ড্রয়েড এবং “আই ও এস” চালিত স্মার্টফোনের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি।

একটি মোবাইল ফোন কেনার সময় যেসব দিকগুলো অবশ্যই দেখে নিবেন | Smartphone buying

 

প্রসেসর

সিস্টেম অন চিপ বা প্রচলিত সহজ কথায় সিপিইউ। এটি স্মার্টফোনের ব্রেইন। এর মাঝেই ইন্টিগ্রেটেড থাকে আপনার স্মার্টফোনের প্রসেসর, গ্রাফিক প্রসেসর, ক্যাশ ও বিভিন্ন ওয়্যারলেস মডিউল। এটাকে চিপসেট আবার অনেকে শুধু প্রসেসর বলেন। তো বুঝতেই পারছেন এর গুরুত্ব কতখানি। আপনার স্মার্টফোনের সব ডেটা প্রসেসরই প্রসেস করে দেয়। আর এখনকার স্মার্টফোনগুলো শুধু কল কিংবা ব্রাউজিং করার মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়।

 

র‍্যাম

সাধারণত বর্তমানে লো-এন্ড স্মার্টফোনেও ১ জিবি র‍্যাম থাকে। তবে ১ জিবি র‍্যামের স্মার্টফোন না কেনাটাই ভালো। মিডরেঞ্জ ফোনে ২ থেকে ৪ জিবি ও কিছু কিছু ফ্ল্যাগশিপ ফোনে ৬-৮ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম থাকে। তবে বেশি দাম দিয়ে বেশি র‍্যামওয়ালা ফোন কেনার আগে আপনার আসলেই এতো পরিমাণ র‍্যাম লাগবে কি না কিংবা আপনার প্রসেসর এই র‍্যাম এর যথার্থ ব্যবহার করতে পারবে কি না সেটাও বিবেচ্য। বর্তমানে মধ্যম দামের এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন কিনলে ২জিবি র‍্যামের নিচে না কেনাই ভাল। যদি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনেন, তাহলে র‍্যামের ব্যাপারে এত না ভাবলেও চলবে।

একটি মোবাইল ফোন কেনার সময় যেসব দিকগুলো অবশ্যই দেখে নিবেন | Smartphone buying

ডিসপ্লে

স্ক্রিনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাতও বিবেচ্য বিষয়।আধুনিক স্মার্টফোনের ডিসপ্লের এস্পেক্ট রেশিও ১৮:৯ কিংবা ১৮.৫:৯ হয় যা আগের ১৬:৯ এস্পেক্ট রেশিওর ফোনের চেয়ে বেশি চিকন। ফলে হাতে ধরতেও সহজ আবার দেখতেও সুন্দর লাগে। আপনার ফোনের প্যানেলটি কি এলসিডি, ওলেড নাকি এমোলেড সেটিও দেখতে পারেন। কারণ একেক প্রযুক্তির ডিসপ্লেতে একেক ধরনের ফিচার রয়েছে। এলসিডি স্ক্রিনের ফোনের দাম এমোলেড কিংবা ওলেড স্ক্রিনের চেয়ে তুলনামূলক কম। ফোন কেনার আগে দোকানের স্যাম্পল ডিভাইসে অবশ্যই স্ক্রিন কোয়ালিটি দেখে নিবেন।

 

ক্যামেরা

ক্যামেরার অ্যাপারচার কিংবা আইএসও সেন্সিটিভিটি এর কথাও মাথায় রাখতে হবে। বড় এপারচার এর ক্যামেরা ফোন কিনলে সেটি বেশি আলো গ্রহণ করতে পারবে ফলে কম আলোতেও ভালো ছবি তুলতে পারবে। পিক্সেল সাইজ যাতে বড় থাকে সেটাও একই কারণে লক্ষণীয়। ভিডিওর ক্ষেত্রে আপনার মেইন ক্যামেরা যেন অন্তত ৩০ ফ্রেমস/সেকেন্ড রেটে ১০৮০পি রেজুলেশনে ভিডিও করতে পারে সেটা খেয়াল রাখবেন। আর ৪কে রেজুলেশনের ভিডিও করতে পারলেতো সেটা খুবই ভালো। অনেক স্মার্টফোনে ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন ফিচার থাকে বলে ভিডিও কাঁপেনা। এই ফিচারটি ও আছে কিনা দেখে নিতে পারেন।

একটি মোবাইল ফোন কেনার সময় যেসব দিকগুলো অবশ্যই দেখে নিবেন | Smartphone buying

 

 

ব্যাটারি

স্মার্টফোন যেহেতু একটি কানেক্টেড ডিভাইস তাই সকলেই চান যে তাদের ফোনটা সারাক্ষণ নেটওয়ার্কের মাঝে থাকুক। কিন্তু স্মার্টফোনের ক্যাপাবিলিটি যেমন বেড়েছে সেই তুলনায় এর ব্যাটারি ব্যাকআপ টাইম খুব বেশি বাড়েনি। তাই বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারিওয়ালা স্মার্টফোন কেনা উচিত। আজকাল ৩০০০ মিলিএম্পিয়ার/আওয়ার (mAh) এর কম মানের ব্যাটারির ফোন না নেয়াই উচিত।

 

 

সংক্ষেপে বলতে গেলে:-

১. প্রসেসর কোনটি। সেটা কোন প্রোপায়েটরি ব্র্যান্ডের নাকি (উদাহরন এ সিরিজ বায়নিক, এক্সিনস, হাইসিলিকন কিরিন)যদি হয় তাহলে সেটি কোয়ালকমের কোন প্রসেসরটির সমতুল্য

২. র‍্যাম কত গিগা। এটি চারের কমে নয় ছয়ের বেশি হলে ভালো হয়

৩. ডিসপ্লে এলসিডি না ওলেড

৪. ডিসপ্লে রেজ্যুলুশন কত

৫. ব্যাটারি কত মিলিঅ্যাম্প/ঘন্টা

৬. ওয়াটার ইনগ্রেস প্রটেকশন রেটিং কত (IP6x)

৭. এসডি কার্ড লাগানো যায় নাকি। গেলে কত গিগা পর্যন্ত আর না গেলে এর স্টোরেজ কত

৮. মডারেট ইউজে কতক্ষন চলে

৯. ক্যামেরা কোয়ালিটি কেমন

১০. হেডফোন জ্যাক আছে নাকি

 

তাছাড়া এক মোবাইলেই সব ফিচার সব সময় পাওয়া যায়না। তাই আপনাকে প্রয়জনের বিবেচনায় কিছু জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবের
আপনি হেভি ইউজার হলে ফোনের র‍্যাম,রম,প্রসেসর, ব্যাটারি,চার্জিং প্রযুক্তি এসবের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।আর যদি মডারেট ইউজার হোন তবে মোটামুটি ডিসপ্লে, রম,আপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে।

আপনি স্মার্টফোন কিনার আগে অবশ্যই এই ব্যপার গুলো খেয়াল রাখবেন, আপনি চাইলে ইন্টারনেট (MobileDokan[1])মোবাইল গুলো দেখে তার পর মার্কেট থেকে কিনতে পারেন .

 

Source Note:
Mobile Fact BD
Mobile Phone Price In Bangladesh

Mobile Dokan

13 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here