ভালবাসার রঙ

2

প্রথম যেদিন আমাকে বলল সে আজ থেকে আর তোমার আমার রিলেশন নেই সেদিন খুব কেঁদেছিলাম। বারবার কল করে বলেছিলাম ফিরে আসো আর কখনও আমি তোমার কথার অবাধ্য হব না। চোখের পানি নাকের পানি একাকার করেছিলাম। কিন্তু রেজাল্ট ছিলো জিরো। আমি কান্না কাটি খাওয়াদাওয়া বন্ধ সহ আরো কত যে পাগলামী করেছি তার ইয়াত্তা নেই। তখন সে দিব্বি ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরেছে পিক আপলোড দিয়েছে ফেসবুকে আরো কত কি। প্রায় মাসখানেক নিজেকে গৃহবন্দী রাখারা পরে মনে হল আচ্ছা আমি যে এসব করছি তাতে কার কি হচ্ছে। আমি নিজেকেই তো নিজে শেষ করে দিচ্ছি। না খেয়ে থেকে কষ্ট দিচ্ছি নিজের উপরে আঘাত করে কষ্ট দিচ্ছি। উনি তো দিব্বি মজায় আছে। তো যেতে দেই তাকে মন থেকে।

বের হলাম রুম থেকে সবার সাথে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত হলাম। কিন্তু ওই যে মন বড় বেহায়া। সারাদিন ভার্সিটির ক্লাস স্টুডেন্ট দের পড়ানো ফেসবুকিং ব্লা ব্লা করতে করতে নিজের নামই মনে পড়ে না। কিন্তু রাতটা যে শুধুই আমার হয়ে আসে তখন চোখে নামে বন্যার পানির মত অশ্রু ধারা। বারবার অন্যদের মাঝে তাকে খুঁজে ফিরি। তার ছবিগুলো দেখি আর ভাবি সেও কি আমাকে মনে করছে। কিন্তু আমি জানি সে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। রাতে ঘড়ির কাঁটা যেন স্থির হয়ে যায়। সময় যেন ফুরায়ই না। লাষ্ট কবে যে ঘুমের ওষুধ ছাড়া এক রাত শান্তিতে ঘুমিয়েছি তা মনে নেই। দিনে ভাবি চলে গেছে ভালই হইছে আর রাতে ভাবি কি দোষ ছিল আমার যে চলে গেল আমাকে ছেড়ে।

এটা শুধু আমার না হাজার জনের কাহিনি। আমার প্রতিটি রাতের কর্মকান্ডের সাক্ষী আমার বেলকুনি আমার জানালা। প্রতিদিন ফজরের আজান নিয়ে আসে এক নতুন দিন যে দিনে নতুন করে বাঁচার প্রত্যাশায় আমি তৈরি হই। কিন্তু রাত এলে যে বড়ই ভয় করে। কি করে রাত পার করব সেই চিন্তায়। জানেন আমি জানি না কষ্ট কি কষ্ট কোথায় অনুভব হয়। কিন্তু কষ্টের আঘাতে আঘাতে আমি জর্জরিত। তারাই বেশি হাসে যাদের কষ্ট বেশি এর জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হলাম আমি।

2 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here